কলার গুণাগুণ (Benefits of Banana):
কলা একটি সহজলভ্য, পুষ্টিকর ও শক্তি-বর্ধক ফল যা সারাবছরই পাওয়া যায়। এটি শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, বরং দেহের নানা উপকারেও আসে।
পুষ্টিগুণ (Nutritional Value):
-
ভিটামিন: B6, C
-
খনিজ পদার্থ: পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম
-
ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
-
প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ)
কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১. শক্তি বাড়ায়
-
কলা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়, তাই খেলোয়াড়রা এটি ওয়ার্কআউটের আগে/পরে খায়।
২. হজমে সহায়তা করে
-
এতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
-
পটাসিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৪. মেজাজ ভালো রাখে
-
কলায় ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা শরীরে ‘সেরোটোনিন’ উৎপন্ন করে—যা মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৫. আলসার ও গ্যাস্ট্রিকের উপশমে সহায়ক
-
কলা পাকস্থলীর দেয়ালে সুরক্ষার একটি প্রাকৃতিক আবরণ তৈরি করে।
৬. রক্তশূন্যতা দূর করে
-
এতে আয়রন থাকে যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
৭. হাড় মজবুত করে
-
ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করে।
সতর্কতা:
-
অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের পরিমাণমতো খাওয়া উচিত।
উপসংহার:
কলা একটি স্বাস্থ্যসম্মত, পুষ্টিকর ও সহজলভ্য ফল যা দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত। এটি শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার জন্যই উপকারী।
চাইলে কলার বিচি বা কাঁচা কলার উপকারিতাও জানাতে পারি।

Comments
Post a Comment